
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমা শব্দবন্ধটিতে আপনার অসুবিধা কী! আদালত অবমাননার দায়ে বিশিষ্ট আইনজীবী ও সমাজকর্মী প্রশান্ত ভূষণকে এমনটাই প্রশ্ন করল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে বললেন কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল৷
অ্যাটর্নি জেনারেল শীর্ষ আদালতে এ দিন বলেন, ‘ওঁকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হোক৷ ভবিষ্যতে যেন উনি এটা আর না করেন৷ ওঁকে শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন নেই৷ জনগণের স্বার্থে উনি অনেক জনস্বার্থ মামলা করেছেন, তাই ওঁর মানুষের জন্য কাজকে এ ক্ষেত্রে বিবেচিত বিষয় হিসেবে দেখা হোক৷’
দেশের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের হার্লে ডেভিডসন বাইকে চড়ার ছবি নিয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ ট্যুইট করেছিলেন, ‘এমন একটা সঙ্কটের সময়ে প্রধান বিচারপতি মাস্ক ও হেলমেট না পরে বাইকে চড়ছেন৷ অন্যদিকে লকডাউনে নাগরিকরা বিচার পাচ্ছেন না৷’
প্রশান্ত ভূষণ পরে আদালতে ক্ষমা চেয়ে জানান, তিনি খেয়াল করেননি বাইকটি স্ট্যান্ড করা আছে৷ কিন্তু আগের ৪ প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে কড়া ট্যুইটের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে যে আদালত অবমাননার মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় দুঃখ প্রকাশ তো দূর, ক্ষমাও চাননি প্রশান্ত ভূষণ৷
কেন্দ্রের আইনজীবী এক বিবৃতিতে শীর্ষ আদালতকে বলেন, ‘গণতন্ত্রিক ব্যবস্থা ভেঙে গিয়েছে, এই ধরনের গুরুতর মন্তব্য একাধিক প্রাক্তন বিচারকও করেছেন৷ এমনকী সুপ্রিম কোর্টের একাধিক বিচারপতিও আইন ব্যবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গে এমন কথা বলেছেন, সে তালিকা আমার কাছে আছে৷’
এরপরে বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেন, ‘প্রশান্ত ভূষণের মতো একজন বিশিষ্ট আইনজীবী এই ধরনের মন্তব্য করছেন, খুবই বেদনাদায়ক৷ এটা ওঁকে শোভা পায় না৷ ক্ষমা শব্দবন্ধটিতে আপনার অসুবিধা কী!’