পরিবার বড় হলে ছোটখাটো সমস্যা আসবে এবং মিটেও যাবে,এটাই স্বাভাবিক ঘটনা : জগন্নাথ

শ্যামল কান্তি বিশ্বাস, কৃষ্ণনগর: পরিবার যখন বড়ো হতে থাকে তখন বিভিন্ন ধরনের ছোটখাটো সমস্যা দেখা দিতেই পারে এবং এটাই স্বাভাবিক ঘটনা, পরবর্তীতে সে সমস্যা মিটেও যায় এবং যাবে। বিজেপি আদর্শবাদী বাস্তবমুখী রাজনৈতিক সংগঠন,আবেগ কিংবা কোন ব্যক্তি বিশেষ হঠকারী সিদ্ধান্তে চলেনা। দলের একটা নীতি আদর্শ আছে। দল তার স্বাভাবিক গতি প্রকৃতি অনুযায়ী নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যদিয়ে এগোয়, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি, বিষয়টি নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে,বরঞ্চ নিজেদের চরকায় তেল দিন, নিজেদের ঘর সামলান, পরামর্শ বিজেপি নেতা তথা লোকপ্রিয় সাংসদ জগন্নাথ সরকারের।
রাজ্যের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মন্তব্য করতে গিয়ে জগন্নাথ বলেন, বিজেপি দলটি বাস্তববাদী সংগঠন, আবেগে চলেনা, সমাজ জীবনে বাস্তবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দলের অভ্যন্তরে এধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে,বরঞ্চ না ঘটলেই চিন্তিত হওয়ার বিষয় ছিল। দেখে যেন মনে হচ্ছে, আমাদের দলের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বড়ো চিন্তিত এ রাজ্যের শাসক তৃণমূল,যাদের হয়তো এই ঘটনায় রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে!নারদা, সারদা, রোজভ্যালি-র মতো চিটফান্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া,অস্থিত্ব বিপন্ন হতে যাওয়া দূর্নীতি গ্ৰস্থ একটি রাজনৈতিক দল,যাদের অপশাসনে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য অগ্ৰগতিতে পিছিয়ে পড়ছে,তাদের মুখে অন্ততঃ এ আলোচনা শোভা পায়না। কৃষকের স্বপ্ন কে বূলডুজার দিয়ে হত্যাকারী তৃণমূল এখন দেখছি কেন্দ্রের জনমুখী যুগান্তকারী কৃষি বিলের বিরোধিতায় পথে নেমে বাংলার জগগনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, সফলতা পাবেনা কৃষক বিরোধী এধরনের জঘন্ন প্রয়াস।
আরও পড়ুন: তিন মোর্চা সভাপতির নাম ঘোষণা করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপি
যারা কৃষকের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে ,তাদের মুখে কৃষক প্রীতি?এতো দেখছি,ভূতের মুখে রাম নাম!অভিমত সাংসদ জগন্নাথ সরকারের। বাংলার ৭৬ লক্ষ কৃষক আজ শুধু মাত্র মমতা সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য কেন্দ্রীয় কৃষি যোজনার আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত।ক্ষোভে ফুঁসছে রাজ্যের মানুষ।সব প্রশ্নের জবাব, বাংলার জনগণ ২১ এর নির্বাচনে দেবেন।