
যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: রাজ্যের তাপপ্রবাহ কমেছে। কয়েকদিন ধরে গরমে জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছিল। তার থেকে স্বস্তি মিলেছে। মাঝখানে দু’দিন শহরে কালবৈশাখী হয়েছে। তবে ফের প্রবল পরাক্রমে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। তার গতিপথ কোনদিকে হবে সেই বিষয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট নয়।
ইতিমধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। আর সেই নিম্নচাপই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার প্রভাব পড়তে পারে বাংলাতেও।
আন্দামান সাগরে আজই তৈরি হবে ঘূর্ণাবর্ত। শুক্রবারের মধ্যে এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। নিম্নচাপ শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। আন্দামান সাগর, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং মধ্য বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে আসতে পারে সেই ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ ওড়িশা উপকূলের দিকে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ের প্রভাব রাজ্যের উপকূলে পড়ার সম্ভাবনাও আছে। মৌসম ভবন বলছে, তৈরি হওয়া নিম্নচাপ আগামী ৬ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তবে এই নিম্নচাপের ফলে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বুধবারও রাজ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা একই থাকবে। জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় অস্বস্তিও থাকবে। বৃষ্টি হলে কমবে অস্বস্তি।