সম্পত্তির লোভে বিধবা মাকে লাথি, ঝাঁটা পেটা ছেলে-বৌমার.. হাসপাতালে ভর্তি জন্মদাত্রী

শ্যাম বিশ্বাস, উওর ২৪ পরগনা: মাকে অকথ্য অত্যাচার। মারের চোটে হাসপাতালে ভর্তি বিধমা মা। ছেলে ও বৌমার হাতে জুটেছে লাথি, ঝাঁটাপেটা। বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ থানার পাটলি খানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের ঘটনা। চারজনের বিরুদ্ধে হাসনাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের বিধবা মায়ের। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আক্রান্ত সালেয়া বিবির স্বামী আব্দুর রহমান গাজি তিন বছর আগে মারা যান। জীবনের শেষ সম্বল আড়াই কাঠা জমি ও বাড়ি।আর মায়ের শেষ সম্বলটুকু হাতাতেই মায়ের ওপর নির্যাতন শুরু করে একমাত্র ছেলে ইসমাইল গাজি। এমনকী শ্বশুরের মৃত্যুর পর থেকে শাশুড়ির ওপর অকথ্য মানসিক নির্যাতন চালাতে শুরু করে ইসমাইলের স্ত্রী খাদিজা বিবি। নানা অজুহাত খাড়া বিভিন্ন সময়ে চলেছে এই মারধর।
এই নির্যাতনের কারণে গত ৬ মাস আগে মেয়ের বাড়ি চলে যান সালেয়া বিবি। কিন্তু বাড়িতে ফিরে আসতেই আবার নতুন করে তার ওপর আক্রমণ নির্যাতন বাড়তে থাকে।
সালেয়া বিবি তিনি কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করেন। ছেলে ও বৌমার হাতে মাসের রোজগার করা টাকা তুলে দিতেন। তারপরও অত্যাচার থামেনি। এদিকে লকডাউনের মধ্যে যখন কাজ হারান সালান বিবি। অত্যাচারের মাত্রা দ্বিগুণ হয়। ছেলে বৌমার দাবি, আড়াই কাঠা জমি, বাড়ি আছে সেটা তাদের নামে লিখে দিতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাঁশ লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি রাতের অন্ধকারে তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় ছেলে ও বৌমা। এই কাজে মদত জোগায় খাদিজার বাপের বাড়ির লোকজনও।
আরও পড়ুন: সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
আক্রান্ত হয়ে সালেয়া টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছেলে বৌমা ও বৌমার বাপের বাড়ি সহ চারজনের বিরুদ্ধে হাসনাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্ত মা। অভিযোগের ভিত্তিতে হাসনাবাদ থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।