বিচক্ষণ রাষ্ট্রপ্রধান প্রণবদা

আমজাদ আলি খান: প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু আমাদের গোটা দেশের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক একটা ঘটনা। রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবসর নেওয়ার পরে উনি যে এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন, সেটা আমরা ভাবতেই পারিনি। উনি চলে যাওয়ার পরে এটাই প্রণববাবুর প্রথম জন্মদিন। প্রণববাবুর অভিজ্ঞতা থেকে দেশ সব সময় উপকৃত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মন্ত্রী হিসেবে ওঁর অভিজ্ঞতা কারুর সঙ্গে তুলনীয় নয়। বিভিন্ন সময় পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য এবং অর্থমন্ত্রীর পদ সামলেছেন।
আমি ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ যে উনি ব্যস্ত সময়ের মধ্যে থেকে সময় বের করে আমাদের সরোদ ঘর শিরোনামে প্রদর্শশালা দেখতে এসেছিলেন। ওঁর সঙ্গে এসেছিলেন সোনিয়া গান্ধি। ওঁরা গোয়ালিয়ারে এসেছিলেন হাফিজ আলি খান সম্মান প্রদান করতে। বহু বিষয়ে ওঁর জ্ঞান ছিল দেখার মত। অসম্ভব ভালো বক্তা, ভালো স্কলার, বিচক্ষণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং সাংবিধানিক আলোচনার বিষয়ে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন।
আরও পড়ুন: শুধু মন্ত্রী নন মানবিকতায় উদার প্রণব
আমাদের সঙ্গে ওঁর স্ত্রী শুভ্রা মুখোপাধ্যায়েরও খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। উনি আমাদের কাছে পরিচিত ছিলেন গীতাদি হিসেবে। গীতাদি শিল্পী এবং শিল্পকলা সম্পর্কে ভালোবাসা পোষণ করতেন। উনি আমাদেরকে ওঁর আঁকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটা অয়েল পেইন্টিং উপহার দিয়েছিলেন। আমার স্ত্রী শুভালীর সঙ্গে গীতাদির এক বিশেষ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। প্রণববাবু ও গীতাদির মত সুন্দর মানুষের সঙ্গে আমার ও শুভালীর একাধিক সুন্দর সময় কেটেছে। ওঁরা দু’জনেই মেয়ে শর্মিষ্ঠার কত্থক নৃত্য নিয়ে গর্ববোধ করতেন। আশা করব শর্মিষ্ঠা ওঁর নিজের কর্মক্ষেত্র ছাড়াও বাবার ঐতিহ্য বহন করবে।