২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের ভেঙে পড়লো কুড়ি ফুট বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ, প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা

শ্যাম বিশ্বাস, উওর ২৪ পরগনা: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা। বসিরহাট মহাকুমার হাড়োয়ার ব্লকের আটপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুন্সিঘেরির ঘটনা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটা নাগাদ প্রায় কুড়ি ফুট বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ আচমকাই ভেঙে যায়। যার ফলে মুন্সিঘেরি, মল্লিক ঘেরি, ছয়আনি, ঘাট পারা সহ বেশকিছু গ্রামে নোনা জল ঢুকছে। কি কারণে বাঁধ ভাঙলো তা বুঝে উঠতে পারছে না গ্রামবাসীরা।
আমফানে একই জায়গায় বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভেঙে গিয়েছিল। তার ওপরে বেশ কিছুদিন ধরে ব্লক প্রশাসন, সেচদফতর ওই বাঁধের মেরামতি করে গেছেন। তারপরে আবার নতুন করে এই বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় নতুন আশঙ্কার কালো মেঘ দেখছে গ্রামের মানুষ বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক’শো গ্রামবাসী। বর্ষাকাল শুরু হয়েছে একদিকে আকাশের বৃষ্টি অন্যদিকে নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে গ্রামবাসীদের। এখনও আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। তার পরে এই নদীর বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকে একদিকে ফসলের ক্ষতি, অন্যদিকে মেছোঘেড়িতে নোনা জল ঢুকে ব্যাপক মাছ চাষের ক্ষতি হচ্ছে। সব মিলিয়ে আমফানের দুর্যোগ কাটিয়ে যখন একটু একটু করে স্বাভাবিকের পথে এগোচ্ছিল সুন্দরবনের মিনাখাঁ ব্লকের মানুষ। আবার নতুন করে বাঁধ ভাঙায় রাতের ঘুম কেড়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের।
আরও পড়ুন:ভারত ও হিন্দু বিরোধী ‘কমলা’কে নিয়ে আদিখ্যেতা
মিনাখাঁ ব্লক সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল বলেন, অতি দ্রুত কাজ শুরু হবে। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, ইতিমধ্যে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পঞ্চায়েত শেষ দফতর ও বিডিওর প্রতিনিধিরা গিয়েছেন যাতে দ্রুত বাঁধ মেরামতি কাজ শুরু করা যায়। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ মজুত করা আছে। এছাড়া বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ মেরামতির জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনের সঙ্গে গ্রামের মানুষ হাত লাগিয়েছে। বালির বস্তা বাস খুঁটি দিয়ে নদীর জল আটকানোর চেষ্টা চলছে।