বিয়ের তিনমাসের মধ্যেই সংসারে অশান্তি, আত্মঘাতী দম্পতি

মিলন পণ্ডা, রামনগর (পূর্ব মেদিনীপুর): ভালোবেসে বিয়ে। দুই পরিবারের অমতে পালিয়ে মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন প্রেমিক ও প্রেমিকা। বিয়ের মাত্র তিন মাসের মধ্যেই গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় নব দম্পতির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল। এই মৃতদেহ উদ্ধারের পর গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর থানার হীরাপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃত অভিনন্দন সাউ (২৩) ও তার স্ত্রী দূর্গা সাউ (২০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাননগরের হীরাপুরে অভিনন্দনের সঙ্গে আত্মীয় সূএে আলাপ হয় দূর্গার।তারপরে দুইজনের মধ্যে প্রেম সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত তিন মাস আগে কাঁথির সাতমাইল বাদলপুর গ্রামের দূর্গাকে নিয়ে পালিয়ে একটি মন্দিরে বিয়ে করে অভিনন্দন। বিয়ের সময় দুই পরিবারের মত ছিল না বলে জানা গিয়েছে। তারপরে অভিনন্দনের পরিবার এই বিবাহ মেনে নেন। অভিনন্দন পেশায় ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন। করোনা আবহে মধ্যে লকডাউন থাকার কারণে ভিন রাজ্যে কর্মসূত্রে যেতে পারেননি। বিয়ের কয়েক দিন যেতে না যেতেই আর্থিক অনটন নিয়ে নব দম্পতির মধ্যে বচসা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: আনলক-৪ পর্বে শুরু হতে পারে লোকাল ট্রেন পরিষেবা, তবে এখনই খুলছে না স্কুল-কলেজ
সোমবার রাতে বাড়ির সিলিং ফ্যানে একটি শাড়িতে ফাঁস লাগানো অবস্থায় নবদম্পতির ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্যদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। এসেই প্রতিবেশীদের চক্ষু চড়কগাছ। ঘটনার খবর দেওয়া হয় রামনগর থানার পুলিশকে। রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রামনগর থানার পুলিশ। বাড়ি থেকে নব দম্পত্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। মঙ্গলবার পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
রামনগর থানার ওসি সৌরভ চিননা বলেন, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঠিক কি কারণে নবদম্পত্তি আত্মঘাতী হলেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি দুই পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ অনেকটাই পরিষ্কার হবে।
এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিশ্বমুকুল দে বলেন, ঘটনাটি খুব মর্মান্তিক। পরিবারকে সবরকম সহযোগিতা ও পাশে থাকার আশ্বাস দেন।