নারকীয় হত্যালীলার সাক্ষী রামপুরহাটের বগটুই, জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ, তদন্তে সিট

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক নারকীয় হত্যালীলার সাক্ষী থাকল রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম। জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় উত্তপ্ত বগটুই। এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।
ভাদু শেখের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল রাত থেকে তাণ্ডব শুরু করে তার অনুগামীরা। বোমাবাজি থেকে চলে ভাঙচুর। তার পরেই গ্রামের এক পরিবারের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ। এদের মধ্যে রয়েছে শিশু। দমকলের দাবি তারা ১০ জনের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এদিকে পুলিশে দাবি মৃত্যু হয়েছে আট জনের।
ঘটনায় ওসিকে ক্লোজ, এসডিপিওকে অপসারণ করা হল। এই ঘটনায় নবান্নে প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই মমতার নির্দেশে বগটুই গ্রামে যান ফিরহাদ হাকিম ও বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
স্থানীয় সূত্রে খবর গতকাল তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের বদলা নিতে ১২ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৩৭ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ৪০টি বাড়ি আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত।
তবে পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানান, এখনও অবধি সাতজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে ডিআইজি-সিআইডির নেতৃত্বে দল যাচ্ছে রামপুরহাটে। গঠন করা হচ্ছে সিটও।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে রামপুরহাটে জাতীয় সড়কের পাশ থেকে উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা ছুঁড়ে দুষ্কৃতীরা খুন করে বলে অভিযোগ। তার পর সোমবার রাত থেকেই এই তাণ্ডবের সূত্রপাত। সোমবার রাতেই গ্রামে যান দমকলের আধিকারিকরা। দমকলেরই এক আধিকারিক জানান, সোমবার রাতে তিনজনের দেহ এবং মঙ্গলবার সকালে সাতজনের দেহ উদ্ধার হয়। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রামপুরহাট পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
আজ নিহত ভাদু শেখের দেহ গ্রামে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে তার মা ও স্ত্রী। নিহত ভাদু শেখের স্ত্রী ও মা খুনিদের শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এই পরিস্থিতি সাংবাদিক করেন রাজ্য পুলিশের মনোজ মালব্য। তিনি জানান, একই পরিবার সাতজনের মৃত্যুর হয়েছে। পরে আরও একজনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিন সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে।