জলপাইগুড়ির কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে অস্বাভাবিক মৃত্যু শিশু হত্যায় অভিযুক্ত মহিলার

মনোজ রায়, জলপাইগুড়ি: আড়াই বছরের শিশুকে করলা নদীতে জলে ডুবিয়ে মারার অভিযোগে অভিযুক্ত বিচারাধীন মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটল জলপাইগুড়ির কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। শুক্রবার গভীর রাতে সংশোধনাগারের মহিলা সেল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই মহিলার দেহ উদ্ধার হয়।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার জলপাইগুড়ির ইন্দিরা কলোনির এক আড়াই বছরের শিশুকে করলা নদীতে ডুবিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল প্রতিবেশী ওই মহিলার বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই মহিলা ঝাড়ফুঁক ও টোটকা করতেন। ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারের পর উত্তেজিত এলাকাবাসী ওই মহিলার বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এরপর অভিযুক্ত ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করে কোতয়ালি থানার পুলিশ।
গত রবিবার, আদালতের আবেদনের ভিত্তিতে ওই মহিলাকে তিনদিনের পুলিশি হেপাজতে নেওয়া হয়েছিল। পরে ১০ তারিখ জেলা আদালতের নির্দেশে ওই মহিলাকে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার নিয়ে আসা হয়। সংশোধনাগার সূত্রে খবর, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে ওই মহিলাকে মহিলা সেলের পৃথক একটি ঘরে রাখা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার গভীর রাতে ওই মহিলাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান মহিলা সেলের কর্তব্যরত কারারক্ষী। এরপর চিকিৎসককে ডাকা হলে পরীক্ষার পর অভিযুক্ত ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের মুখ্য নিয়ামক অপুর্ব সেন জানান, মৃত বন্দির পরিবারকে ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয়েছে এবং মৃতদেহ জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের তরফে বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ, কোতয়ালি থানা এবং ন্যাশনাল হিউম্যান রাইট কমিশনকে জানানো হয়েছে বলে খবর।