আদিবাসী মহিলাকে বেঁধে মারধর ও শ্লীলতাহানি, ধৃত ৪

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভাতার: আদিবাসী মহিলাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ক্লাবঘরে বেঁধে রেখে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল একই গ্রামের বাসিন্দা কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে । চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভাতার থানার ওড়গ্রামে । এই ঘটনায় চার যুবককে গ্রেফতার করেছে ভাতার থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম সোমনাথ হাঁসদা, মঙ্গলদেব সোরেন,মঙ্গল হাঁসদা এবং সনাতন হাঁসদা। ধৃতরা প্রত্যেকেই ওড়গ্রামের তিলকেপাড়র বাসিন্দা । সোমবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, ওড়গ্রামের তিলকেপাড়াতেই বাড়ি বছর ত্রিশের ওই নিগৃহীতা ওই মহিলার । তিনি ঠিকাদারের অধীনে রাস্তা নির্মান শ্রমিকের কাজ করেন। ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার। মহিলা জানিয়েছেন, তার সঙ্গে মঙ্গলকোটের জালপাড়া গ্রামের এক ব্যক্তি ঠিকাদারের অধীনে কাজ করেন ।ওই দিন তিনি কাজের শেষে জালপাড়ার ওই ব্যক্তির সঙ্গে বাড়ির কাছাকাছি একটি রাস্তার ধারে দাড়িয়ে কথাবার্তা বলছিলেন। সেই সময় তার প্রতিবেশী কয়েকজন যুবক এসে তাদের দুজনকে তুলে তিরকেপাড়ে একটি ক্লাবঘরে নিয়ে গিয়ে বেঁধে রাখে ।
আরও পড়ুন: সংঘাতের আবহে ৪৪টি সেতু দেশকে উৎসর্গ করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং
ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর অবৈধ সম্বন্ধ রয়েছে অপবাদ দিয়ে তাদের মারধর করতে শুরু করে । তার শ্লীলতাহানীও করা হয় বলে অভিযোগ মহিলার অভিযোগ, রাতভর মারধরের পর শেষে জালপাড়ার ওই ব্যক্তি ও তার পরিবারের কাছে খবর দিয়ে ক্লাবের যুবকরা বেশকিছু টাকা জরিমানা আদায় করে তবেই তাদের ছাড়ে ।
জানা গেছে, ওই যুবকদের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মহিলাকে হাসপাতালে চিকিৎসায় নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন । রবিবার ওই মহিলা এনিয়ে ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । তার অভিযোগের ভিত্তিতে চার অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ ।