“নেতা নয়, কর্মী হিসেবে কাজ করুন” দলীয় কর্মীদের বার্তা বিজেপি সাংসদের

অভিষেক আচার্য, কল্যাণী: “নেতা নয়,কর্মী হিসেবে কাজ করুন” দলীয় কর্মীদের এমনই বার্তা দিলেন রানাঘাট লোকসভার বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি আরও বলেন যে, বাংলা এখন অনেক পিছিয়ে পড়েছে। তাই রাজ্য সরকারকে বিজ্ঞাপন দিতে হচ্ছে “এগিয়ে বাংলা”র। শাসক দলের বিরুদ্ধে এইভাবে কটাক্ষের সুরে তোপ দাগলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
নদীয়ার কল্যানীর সেন্ট্রাল পার্ক এলাকায় ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ১১৯ তম জন্মদিন উপলক্ষে এসে সাংসদ জগন্নাথ সরকার শাসক দল ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে গেরুয়া কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করেন তিনি।
শুধু তাই নয়, এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুর পরিবারের সদস্য তথা বনগাঁ লোকসভার বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বড় ভাই সুব্রত ঠাকুর। তিনি অনুষ্ঠানের প্রথম থেকেই “স্পিকটি নট” হয়ে থেকেছেন। বক্তব্যর শুরুতেই জগন্নাথবাবু সুব্রত ঠাকুরকে মতুয়া সঙ্ঘের “সঙ্ঘাধিপতি” বলে সন্মোধন করেছেন। যা নিয়ে পদ্ম শিবিরের অন্দরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ, শান্তনু ঠাকুর “সঙ্ঘাধিপতি” হিসেবে এখনও বিদ্যমান সেখানে কিভাবে সুব্রতবাবু মতুয়ার “সঙ্ঘাধিপতি” হতে পারেন। সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও অনুষ্ঠানের শেষে সুব্রত ঠাকুর বলেন, তিনি ও ভাই শান্তনু দুজনেই মতুয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ আসনে যৌথভাবে রয়েছেন। ফলে তিনিও একজন “সঙ্ঘাধিপতি”।
[আরও পড়ুন- রেলকে বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষোভ]
মঞ্চে ভাষণ রাখতে গিয়ে জগন্নাথবাবু বলেন, “কেন্দ্রের টাকা নিয়ে রাজ্য বলছে বাংলা এগিয়ে। অথচ লাল ও সবুজের শাসনেই বাংলার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে বাইরের রাজ্যে গিয়ে হয়েছেন পরিযায়ী। এই রাজ্যকে ধ্বংস করেছে বাম, তৃণমূল ও কংগ্রেস।” তিনি আরও বলেন যে, “জনগণের টাকায় বড় বড় বিজ্ঞাপন দিচ্ছে শাসক দল। কিন্তু বাংলাকে পিছিয়ে দিয়েছে ঘাসফুল। মানুষকে বিভ্রান্ত করে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে শাসক দল। দুর্বলতা ঢাকতে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে মা, মাটি, মানুষের সরকার।”
দলের কোন্দল ঠেকাতে বিজেপি সাংসদ বলেন, ” মাঠ একটাই সেটা হলো ভারতীয় জনতা পার্টি। সেই মাঠে সবাইকে একত্রিত করে নিয়ে চলুন। দলের বিরুদ্ধে কিছু করবেন না।” পাশাপাশি দলের অনুশাসন মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এমনকি নিজেকে নেতা না ভেবে কর্মী ভেবে কাজ করার উপদেশ দিলেন কল্যানীর পদ্ম নেতৃত্বকে।
এছাড়া কল্যানীর ২ নম্বর অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা থেকে বাম ও তৃণমূলের প্রায় ৫০০ পরিবার যোগ দিলেন পদ্ম শিবিরে। তাঁদের হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দেন রানাঘাট লোকসভার সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অশোক চক্রবর্তী। এছাড়া কল্যাণী মণ্ডল ৩ এর সভাপতি বিশ্বরূপ কুলভী শাসক দলের বিরোধিতা করে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আদর্শ ও তাঁর নীতি মেনে চলার পরামর্শ দেন দলের কর্মী-সমর্থকদের।