একটানা ‘ওয়ার্ক ফর্ম হোম’…ডেকে আনতে পারে মানসিক বিপর্যয়!!!!
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে সর্বত্র চলেছে লকডাউন। মানুষ আজ ঘরবন্দি। বেশিরভার মানুষ ঘর থেকে তাদের অফিসের জরুরি কাজ সারছে। চালু হয়েছে ‘ওয়ার্ক ফর্ম হোম’। কিন্তু এই ‘ওয়ার্ক ফর্ম হোম-ই মানব জীবনে ডেকে আনতে পারে বিপদ।
এমনটাই আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন মাইক্রোসফ্টের সিইও সত্য নাদেলা। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রের সাক্ষাৎকারে এই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন তিনি।
সেইসঙ্গে নাদেলা জানাচ্ছেন, রাস্তায় নিত্যদিন যাওয়া আসা, মানুষের সঙ্গে মেলামেশা, সামাজিক আদান-প্রদান জরুরি।
চিনের উহানে মারাত্মক ভাইরাসের আক্রমণে সাধারণ মানুষ আজ ঘরবন্দি। এর ফলে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। নিজের ঘরের লোক ছাড়া প্রয়োজনে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। চিন থেকে সমগ্র বিশ্বে এই মারণ ভাইরাস তার থাবা বসাতে শুরু করলেই বহু সংস্থা কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার কথা বলে। এ ভাবেই সচল রাখা হয় বহু অফিস ও পরিষেবা। শুরু হয় ওয়ার্ক ফর্ম হোম।
ফলে কাজের জায়গায় কর্মীদের পরস্পরের সঙ্গে কথা বা মিটিং-এর মাধ্যম হয়ে উঠেছে ভিডিও কল। মেসেজ করেও রাখা হচ্ছে যোগাযোগ। কিন্তু এক্ষেত্রে নাদেলার বক্তব্য, পারস্পরিক দেখা সাক্ষাৎ, সামনাসামনি আলোচনার বিকল্প কখনওই ভিডিও কল হতে পারে না। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, কর্মীরা একসঙ্গে সময় কাটালে, বৈঠকের আগে বা পরে কথা বললে তা তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। কাজেও তার সুপ্রভাব পড়ে।
কিন্তু দিনের পর দিন ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ মানব শরীরে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তাই মাইক্রোসফ্টের কর্তা সত্য নাদেলা মনে করেন, সামাজিক আদানপ্রদানের যে সুস্থতা, যে পারস্পরিক বাঁধন- তা ক্রমেই আলগা করছে এই লকডাউন ও ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর অভ্যেস। তিনি নিজেও তাঁর সংস্থার কর্মীদের অক্টোবর মাস পর্যন্ত বাড়ি থেকেই কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এবং সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
পাশাপাশি নাদেলার মতে, আর্থিক বৃদ্ধি মানেই তা কর্মীদের মানসিক ভাবে ভালো রাখছে এমনটা না-ও হতে পারে।