World Environment Day… কি শুধুই একটি দিবস!

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: সারা পৃথিবী জুড়ে ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস বা World Environment Day পালিত হয় হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। এর প্রধান উদ্দেশ্য পরিবেশ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বিশ্ব পরিবেশ দিবস সর্বপ্রথম ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ দ্বারা পালিত হয়। ৪৬ বছর অতিক্রান্ত।
আজও কি আমরা পরিবেশ দিবদের মানে অনুধাবন করতে পেরেছি!আর পাঁচটা দিবসের মতো এটিকেও নিছক এই দিনটি একটি দিবসের মধ্যেই আবদ্ধ। পরিবেশের গুরুত্ব আমাদের কাছে কতখানি? চারদিকে যেদিকে তাকালেই দেখা যাবে মানুষ যথেচ্ছভাবে গাছপালা কেটে নষ্ট করছে। পুকুর বুজিয়ে দেওয়ার কাজ চলেছে। চলছে পারমাণবিক বোমার ব্যবহার। বেড়েছে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। ফলে বাড়ছে বিশ্ব উষ্ণায়নের মতো ঘটনা। আর মানুষ অজান্তে নিজের মৃত্যু নিজে ডেকে আনছে। মানুষও পরিবেশ এবং পৃথিবীর অঙ্গ।কিন্তু সেকথা আজ মনে হয় বইয়ে খুঁজলে পাওয়া যাবে।
প্রকৃতি ছাড়া মানুষের জীবন অসম্ভব।প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের রয়েছে এক নিবিড় সম্পর্ক।
১৯৭৪ সালে প্রথমবার, জাতিসংঘ এই ৫ জুন এই তারিখটিতে ভিত্তি স্থাপন করেছিল। তার পর থেকে প্রতিবছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়। ১৯৭৪ সালে, প্রথম জাতিসংঘ স্টকহোমে (সুইডেন) পরিবেশ ও দূষণ সম্পর্কিত একটি আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলনের আয়োজন করে। তাতে প্রায় ১১৯ টি দেশ অংশ নিয়েছিল। এরপর থেকেই ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হতে শুরু করে।
প্রতি বছর, বিশ্ব পরিবেশ দিবসের একটি থিম থাকে। ২০২০ বিশ্ব পরিবেশ দিবসের সেই থিম হ’ল ‘প্রকৃতির জন্য সময়’।
বিগত কয়েক বছর যাবত আমার দেখছি, শুনছি এবং পড়ছি, বিশ্বে পরিবেশ দূষণের সমস্যা ক্রমশ তীব্র আকার ধারণ করছিল। মানুষ তাদের সুবিধার জন্য সংস্থান তৈরি করেছে, আর তার জন্য ধ্বংস করেছে পরিবেশকে। এই কেউ-প্রভাবের কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলির সঙ্গে মোকাবিলার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়। বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের মূল কারণ হ’ল পরিবেশ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা।
এই বিশ্ব সবসময় চলে তার নির্দিষ্ট ছন্দে ভারসাম্য রক্ষা করে। যখন অত্যাধিক মাত্রায় অত্যাচার বা অপব্যবহারে ক্ষুণ্ন হয়ে ওঠে, তখনই সে হয় প্রতিবাদে সোচ্চার। এই নিয়ম চলে আসছে সূচনা লগ্ন থেকেই। প্রকৃতিও তার ব্যতিক্রম নয়।
আধুনিক সভ্যতায় মানবজাতির দ্বারা বিভিন্নভাবে প্রতিনিয়ত অত্যাচারিত হচ্ছে প্রকৃতিমাতা। নদীবক্ষে অবৈজ্ঞানিকভাবে বাঁধ নির্মাণে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে তার আপন গতি। এছাড়া প্রতিদিন বেড়ে চলেছে দূষণের মাত্রা। তাই পক্ষান্তরে প্রকৃতিও নিচ্ছে বদলা, নিজের খেয়ালে। মানব জাতির দৈনন্দিন জীবন স্তব্ধ করে তুলতেও সক্ষম হয়েছে সে। উদাহরণস্বরূপ বন্যা, খরা, ভূমিকম্প, ধ্বস, মহামারী তাপমাত্রা বৃদ্ধি — সর্বোপরি বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং ওজোন স্তরের বিনাশ। যা বর্তমান শতাব্দীতে এক জলন্ত সমস্যা।
তবে আজ মানুষ করোনার জেরে বিপর্যস্ত। লকডাউন মানুষের জীবন বিধ্বস্ত করে দিয়েছে ঠিকই, তবে লকডাউন পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।