fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

ভুল ওষুধ দেওয়ায় মৃত্যু বৃদ্ধের, ওষুধের দোকান ভাঙচুর, আটক ২

শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোল: ভুল ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ উঠলো এক দোকানের বিরুদ্ধে। সেই ওষুধ খেয়ে এক প্রৌঢ়র মৃত্যুও হয়েছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসানসোলের কল্যানেশ্বরী এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃত প্রৌঢ়ের নাম শঙ্কর নুনিয়া (৬০)।

পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে পেট ব্যাথার জন্য কল্যানেশ্বরী একটি মেডিকেল স্টোর থেকে ওষুধ কিনে খাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই মৃত হয় শঙ্কর নুনিয়ার।

এই ঘটনার জেরে পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভে  ফেটে পড়েন। তারা ভাঙচুর করেন ঐ মেডিকেল স্টোরে। খবর পেয়ে  আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের কল্যানেশ্বরী ও চৌরঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশ এলাকায় আসে। বেশ কিছুক্ষুনের চেষ্টার পরে পুলিশ পরিস্থিতির সামাল দেয়। পরে পুলিশ  মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়।

এই ঘটনার জেরে আটক করা হয় ঐ মেডিকেল স্টোরের  মালিক প্রদীপ পন্ডিত ও উমাশঙ্কর পন্ডিতকে।

এই ঘটনা নিয়ে শঙ্কর নুনিয়ার ছেলে রাজেশ নুনিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বাবার শরীর ভালো ছিলো। ঘুম থেকে সকালে উঠে বাবা পাড়ার বজরঙ্গবলি মন্দির চত্বর পরিস্কারও করেন৷ এরপর বাড়িতে ফিরে এসে বাবা হঠাৎ বলেন খুব পেটে ব্যথা করছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে এলাকার ওষুধের দোকান যাই। সেখান থেকে একটি ওষুধ নিয়ে আসি ও বাবাকে খেতে খাইয়ে দি।  সেই ওষুধ খাওয়ানোর কিছুক্ষনের মধ্যে বাবার  পুরো শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়।

তার অভিযোগ, পেট ব্যথার ওষুধ না দিয়ে দোকান থেকে আমাকে ” বমিফোর্ড ” নামে একটা ক্যান্সারের ওষুধ দিয়ে দেয়৷ আর সেই ওষুধ খাওয়ানোর জন্যে  আমরা বাবা মারা যায়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেই এলাকার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃত পরিবারের সদস্য ও এলাকার বাসিন্দারা ঐ ওষুধের দোকানে চড়াও হয়। তারা দোকানে ভাঙচুর করেন।

পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, ভুল ওষুধ দেওয়া হয়েছে বলে একটা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই ওষুধ খেয়ে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। দুজনকে আটক করা হয়েছে। মৃতদেহর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃতের সঠিক কারণ জানা  যাবে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

Related Articles

Back to top button
Close