
অভীক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: বাড়ি প্রোমোটিং করা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েও ভাড়াটে উঠতে রাজি না হওয়ায় ঝামেলার জেরে সেই ভাড়াটে সুনীল দাসকেই খুনের চেষ্টা করেছিলেন বাড়িওয়ালা অনিল দাস। কিন্তু তাকে বাঁচাতে গিয়ে বাড়িওয়ালার এলোপাথাড়ি কাঁচির কোপে মৃত্যু হল প্রতিবেশী ভাড়াটে মনোজ রামের। শনিবার রাতে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ট্যাংরার ডি সি দে রোডে।
ঘটনায় ইতিমধ্যেই অনিল দাস, রবি দাস, সুনীল দাস, বাদামিয়া দাস, সঞ্জয় দাস, অশোক দাস ও বেবি দাস নামে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে খুনের অস্ত্রও। মৃত যুবক মনোজ রামের মা আরতি রামের অভিযোগ, বাড়িওয়ালার ছেলে রবি, ভাইপো অশোক ও তারই পরিবারের সদস্য গুড়িয়া নামে এক মহিলাই খুন করেছে মনোজকে। জানা গিয়েছে, পুরনো গোলমালের জেরে বাড়িওয়ালার ছেলে রবি প্রথমে এক ভাড়াটে সুনীল দাসকে আচমকা মারধর শুরু করে।
সেই ঘটনার প্রতিবাদ করে অপর ভাড়াটিয়া মনোজ তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। তখনই সুনীলকে ছেড়ে ওই যুবকের ওপর চড়াও হয় রবি ও বাড়িওয়ালার পরিবারের বাকি লোকজন। অভিযোগ, ইট দিয়ে তাঁর মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। এরপরই কাঁচি দিয়ে মনোজের পেটে আঘাত করে অভিযুক্ত। তারপর মনোজের মাথায় কাঠের বাটাম দিয়ে আঘাত করে বাড়িওয়ালার ভাইপো। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে লুটিয়ে পড়েন মনোজ। সেই সময়ই ঘটনাস্থল থেকে পালান সকলে।
প্রতিবেশীরা মনোজকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ট্যাংরা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে। মনোজের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। মৃতার স্ত্রী লিখিত অভিযোগ করলে অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ